[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

ফেঞ্চুগঞ্জে হচ্ছে আরেকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 

এম এ রশীদ বিশেষ প্রতিনিধিঃঃ

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজে’লায় বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠছে নতুন একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ‘আ’মেরিকান লিবার্টি পাওয়ার বিডি লিমিটেড’ নামে প্র্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি প্রতিষ্ঠান প্রায় সাড়ে ৪’শ কোটি ব্যয়ে ফেঞ্চুগঞ্জে গড়ে তুলছে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। পুরোপুরি প্রবাসী বিনিয়োগের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।

 

বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে গ্যাস সরবরাহ করবে সিলেট জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন। এ উপলক্ষে গত কয়েকদিন আগে জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আ’মেরিকান লিবার্টি বিডি পাওয়ার লিমিটেডের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। আগামী বছরের শেষ নাগাদ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উৎপাদনে আসবে বলে জানান আ’মেরিকান লিবার্টি পাওয়ার বিডি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে সিলেটের শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন উদ্যোক্তারা।

 

এদিকে ফেঞ্চুগঞ্জে দুটি সরকারি ও তিনটি বেসরকারি ভাড়া ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত ৪৫৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যু’ক্ত হচ্ছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর সিলেটে স্থানীয়ভাবে বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশে বিদ্যুৎ চাহিদার ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে ১৯৯১ সালের তৎকালীন বিএনপি সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ১৯৯৩-৯৪ সালে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) উদ্যোগে ও জা’পানের মেসার্স সুমিটোমা করপোরেশনের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগীতায় ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর তীরে ২৫ একর জমির ওপর গ্যাস ভিত্তিক সিলেট ৯০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।

 

২০০৬ সালে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ওই কেন্দ্রের পাশে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় চীনের মেসার্স হারবিন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সহযোগীতায় ১০৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরেকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে ওই কেন্দ্র থেকে ৯৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যু’ক্ত হচ্ছে। ৬ একর জমির ওপর নির্মিত ৫১ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দেশের প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র মেসার্স বারাকা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু হয় ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর। বর্তমানে কেন্দ্রটিতে পূর্ণমাত্রায় বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এনার্জি প্রিমা ৫০ মেগাওয়াট ভাড়া ভিত্তিক ২য় কেন্দ্রটি নির্মাণ করে মেসার্স হোসাফ গ্রুপ। ২০১১ সালের জুন মাস থেকে কেন্দ্রটি থেকে ৪৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যু’ক্ত হচ্ছে। ফেঞ্চুগঞ্জে সর্বশেষ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপিত হয় ২০১২ সালে উপজে’লার মইনপুরে। কুশিয়ারা পাওয়ার কোম্পানির উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যু’ক্ত হচ্ছে।

 

স্থানীয় প্রয়াত সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর নিজস্ব ৬ একর জমির ওপর ১হাজার ৪শ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাড়া ভিত্তিক ১৭০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিল্ড ওউন অ’পার (বিওও) কেন্দ্র নির্মিত হয়। ২৫ বছরের চুক্তি ভিত্তিক এ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে দিতে হবে।

 

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে স্থাপিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের লোড সেন্টার সিলেট নগরীর নিকটবর্তী হওয়ায় লো-ভোল্টেজ সমস্যা নিরসন, কারিগরি লস সহ সিলেট অঞ্চলে মানসম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্ভর যোগ্যতা বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন শিল্প কারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠার ফলে দেশে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কর্মকা’ন্ড বৃদ্ধি পেয়েছে

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *